মালদা

কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত এক দুস্থ পরিবার সাধুবাদ জানালেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

বিশ্ব দরবারে সমাদৃত বাংলার কন্যাশ্রী। বাংলার কিশোরীদের ঘুড়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে এই প্রকল্প। রাজ্য জুড়ে কমেছে স্কুল ছুট ও বাল্য বিবাহের প্রবনতা। মুখ্যমন্ত্রীর এই সাধের প্রকল্পের বাস্তবায়নে খুশি উপভোক্তা থেকে সাধারন গ্রামবাংলার মানুষ। 

 

            আইন ছিলোই, তা বাস্তবায়নে বারংবার তৎপরতা দেখিয়েছে পুলিশ প্রশাসনও। কিন্তু বাল্য বিবাহ এবং স্কুল ছুট রুখতে কার্যত ব্যার্থ হয়েছিল প্রশাসন। ২০১১ সালে তৃণমূল বাংলার মসনদে বসার পর যে বিষয় গুলি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বেশি করে ভাবিয়েছিল তার শীর্ষে ছিল এই দুটি। তাই গ্রাম বাংলার হত দরিদ্র কিশোরীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই মস্তিস্ক প্রসূত এই কন্যাশ্রী প্রকল্প। রাজ্যের ৪০ লক্ষ স্কুল ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওয়াত এনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার ফলে এক দিকে যেমন স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে। তেমনী অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে সরে এসেছেন তাদের মা বাবারা।

 

             এই রকমই একটি উদাহারন পুরতন মালদা মুচিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মনোহরপুরের কন্যাশ্রী চুমকি দেবনাথ। অর্থের অভাবে পড়াশুনার পাঠ ছুটতে বসেছিল তার। এমনকি এই নাবালিকের বিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল তার বাবা মা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা হাতে পাওয়ায় অকালে ঝরে যায় নি বাংলার এক সম্পদ। ওই টাকা দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তি হয় সে । পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে ওই ছাত্রী। এটি একটি উদাহারন মাত্র। কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছে জেলার হাজার হাজার ছাত্রী। তাই কেবল মাত্র উপভোক্তা ছাত্রীরা নন। মুখ্যন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তাদের পরিবার পরিজনেরাও। 

 

            রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ তথা বিশ্ব দরবারে কন্যাশ্রীর প্রকল্পে লেগেছে নতুন পালক। নেদারল্যান্ডের দ্যা হেগ শহরে প্রংশসা কুড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই রাজ্য জুড়ে তৃণমূল মহলে খুশির হাওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের ফলে জেলার ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছেন, কমেছে বাল্য বিবাহের মত ঘটনাও। সরকারী পরিসংখ্যান অন্তত সেই ইঙ্গিতই দেয়। তাই এই প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।